الثلاثاء، 16 يوليو 2024

প্রবন্ধ: নারী ও পুরুষের রসায়ন, কবি: প্রিয়াংকা নিয়োগী, কোচবিহার,ভারত

 প্রবন্ধ: নারী ও পুরুষের রসায়ন,

কবি: প্রিয়াংকা নিয়োগী,

কোচবিহার,ভারত

তারিখ:04.07.2024

________________

         নারী ও পুরুষের সম্পর্কের কারণেই পৃথিবীর সবকিছু।একজন নারীর ভবিষ্যতের বড়ো অবলম্বন তার স্বামী,আর একজন পুরুষের জীবনেও একই।কিন্তু এই সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত টেকেনা বা টিকছে না বর্তমানে।কিন্তু কেউ আসল কারণও বের করতে পারছেনা।এঁকেকজনের একেকরকম সমস্যা।আর মেয়েদের চাকরী করার মানসিকতা আরও শক্ত তৈরী করেছে নারীদের।যদিও সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার।


    

         কিছু বিয়ে ভালো থাকার চেয়েও একে অপরকে নিয়ে সোশাল স্ট্যাটাস মেইনটেইন করার জন্য বিয়ে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু টেকে কিছু টেকেনা।আর 

একটি দাম্পত্য জীবনে ভালো থাকতে গেলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা,শ্রদ্ধা ও ভক্তি ভেতর থেকে করা উচিৎ। অর্থাৎ যে সম্পর্কে দুজন শুধু দুজনকে কোনো শর্ত ছাড়াই ভালোবাসবে,সে সম্পর্ক সারাজীবন 

আঠালো থাকবে।আঠালো থাকার জন্য একে অপরের 

হিরো ও হিরোইন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।


          যদি কোনো সম্পর্কে একে অপরকে ডমিনেট করার কথা ভাবে তাহলে সেই সম্পর্ক শুধুই তিক্ততা ও লড়াইয়ে ভাড়া থাকবে।একটি সম্পর্কে একে অপরকে মানা,সহযোগিতা করা ও পাশে থাকবে যতো,ততবেশি সম্পর্ক ভালো থাকবে। 


        যুগলের মধ্যে একে অপরের অন্তর্নিহিত শক্তি হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরী।অথচ প্রায়ই দেখা যায় একটি মেয়ে তার মা-বাবা,ভাই,বোনকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

আবার ছেলেটির ক্ষেত্রেও তাই।অথচ যার সাথে এক ছাদের তলায় সারাটা জীবন কাটাবে তার মূল্য ও

গুরুত্ব কম থাকে।একটি যুগলের ক্ষেত্রে একে অপরের অন্তরের পছন্দের মানুষ হয়ে যাওয়া ও থাকার চেষ্টায় থাকতে হবে। 


        সত্যি বিষয়টা হোলো একজনের কাছে তার মা বাবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ,তেমনি তার কাছে তার জীবন সাথী ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত এবং জীবন সাথীকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।কারণ যে কোনো মানুষের ব্যক্তিগত জীবন ভীষণভাবে ভালো হওয়া প্রয়োজনীয়, যেমন সেই ব্যক্তির জন্য,আবার তার সন্তানের জন্যও।


              আর কারও ব্যক্তিগত জীবন তাদের বোঝাপড়ার উপর ও তার সাথে একে অপরের নায়ক ও নায়িকা কতটা হয়ে উঠতে পেরেছে তার উপর ততো নির্ভর থাকে।যদিও এঁকেক জনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে।তবে সম্পর্কের মিষ্টত্ব,গভীরত্ব এবং নতুনত্ত্ব ধরে রাখার জন্য একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা এবং বন্ধু হয়ে থেকে একে অপরকে ডেকরেট করাটা অত্যন্ত জরুরী।


            আমি চেন্নাই যাওয়ার সময় স্লিপার করেছিলাম।এবং সেই ট্রেনে এতো ভীড় ছিলো যে ওয়েটিংরাও যেখানে যেমনভাবে জায়গা পাচ্ছে সে সেখানে বসে যাচ্ছে।৫০ ঘন্টার ঐ সফরে আমাদের সিটের সামনে এক ওয়েটিং দম্পতি ছিলো যারা কোনোরকম সেট হয়েছিলো সেখানে।আমার মায়ের সিট নীচে ছিলো।আর দুই লোয়ার বাথের মাঝখানে মুরির টিন রেখে তার উপর বসেছে স্ত্রী এবং তার স্বামী তার পায়ের নীচে বসা।যদিও ওখানে আরো ছিলো ওয়েটিং লিস্টের।যাদের জন্য যারা সিট কিনেছে তাদেরো অসুবিধা হয়েছে।যাই হোক মূল বিষয় ঐ দম্পতিকে নিয়ে।পুরো মাত্রায় এটাই দেখলাম দুদিন ধরে।


       দম্পতিরা কিন্তু লেবারের কাজ করে। অর্থাৎ কাজের সূত্রে তিনসুকিয়া থেকে চেন্নাই যাওয়া।কিন্তু 

দারুন ছিলো তাদের রসায়ন।তাদের কারোরই চোখ কাউকে খোঁজে না। বরং দুজনই দুজনকে নিয়ে খুশি।

স্বামী চেষ্টা করছে বৌকে কিভাবে যত্ন করা যায়।আবার 

স্ত্রী চেষ্টা করছে স্বামীর কথা শুনে চলার।দিনে গরমে বৌ ঘেমে গেলে মুছিয়ে দিচ্ছে,আবার বৌ চুল আঁচড়াতে গেলে আঁচড়িয়ে দিচ্ছে স্বামী।স্ত্রীও চেষ্টা করছে লোকের ভীড়কে তুয়াক্কা না করে স্বামীর প্রেমিকা হয়ে থাকার।দুজনের বিশেষ চাহিদা দুজন দুজনের জন্য।দুজন দুজনকে নিয়ে খুশি।দুজন দুজনকে ভালো রাখবে কি করে সে চেষ্টাই সর্বক্ষণ করছিলো।তারা খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিচ্ছন্ন ছিলো না।স্ত্রীর বিশেষ কোনো সাজ গোজ ছিলো না।অথচ তাদের উভয়ের দৃষ্টি উভয়ের প্রতি ছিলো।একে অপরকে ডমিনেট করার কোনো মানসিকতা তাদের কাজ করছিল না।তবে একে অপরের রসালো হওয়ার চেষ্টা করছিল।আবার দম্পতি স্ত্রীর কাছে শশ্বুর বাড়ির সম্পর্কে জানতে গেলে সবার নামেই প্রশংসা করে।

আবার দম্পতি স্বামীর তার “শশ্বুর বাড়ি” নিয়ে একটা কথাও দেখলাম না।দুজনের আকর্ষণ শুধু দুজনের প্রতি ছিলো।


        আবার চরিত্র বলেও একটি বিষয় থাকে।কেউ যদি নিজের বা নিজেদের চরিত্রকে ভালো রাখতে চায় তাহলে সে অবশ্যই পারবে।আবার পার্টনারের মিষ্টি ও সৎ ব্যাবহার অত্যন্ত জরুরী পার্টনারের প্রতি।

    

     ‌      একেকটা মানুষ একেকরকম।একেকটা মানুষের বৈশিষ্ট্য এঁকেকরকম এবং পছন্দ একেকরকম।তাই কাউকে বদলাতে না গিয়ে বরং একজনের বিশ্বাস,ভরসা এবং রসালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে।প্রয়োজনে শাসনও করতে হবে।

       

              যদি সম্পর্ক ঠিক থাকে তবে সব ঠিক থাকে।জীবনে অনেক কঠিন মুহূর্তই সহজে পার করা যায় সম্পর্ক ঠিক থাকার কারণে।


         নারী পুরুষের রসায়নের গভীরতা ও আঠালো বিষয় অনেকটাই দম্পতির হাতে  থাকে।তবে অবশ্যই 

একে অপরের নায়ক ও নায়িকা হয়ে ওঠা যায় কতটা সেই চেষ্টাই করতে হবে।


                     _________________



ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق